সময়টা ছিল নবী শীথ (আঃ) এর যুগের কথা। আদম (আঃ) এর ইন্তেকালের পর সমাজের নেতৃত্বের দায়ভার পড়ল তার পুত্র শীথ (আঃ) এর কাছে। তখন শীথ (আঃ) এর সমাজের লোকেরা পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করত। অন্যদিকে তার ভাই কাবিল ও কাবিলের সমাজের লোকেরা পাহাড়ের নিচে সমতল অঞ্চলে বসবাস করত। কাবিল ও তার সমাজের লোকেরা বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত ছিল। অন্যদিকে শীথ (আঃ) ও তার সমাজের লোকেরা আল্লাহকে ভয় করে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে লাগল।
শীথ (আঃ) এর গোত্রকে পথভ্রষ্ট করার জন্য ইবলিস বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকে। সে সময় শীথ (আঃ) এর সমাজের মধ্যে পুরুষদের সৌন্দর্য ছিল বেশি কিন্তু নারীদের সৌন্দর্য এত বেশি ছিল না। অন্যদিকে কাবিলের সমাজের মধ্যে ব্যাপারটি ছিল এর বিপরীত। সেখানকার নারীদের সৌন্দর্য ছিল পুরুষদের থেকে বেশি।
এমন অবস্থায় ইবলিস একটি তরুণের বেশ ধরে কাবিলের সমাজে বসবাস করতে লাগল। সে একজন ধাতু কর্মীর সাথে কাজ করতে লাগল এবং সেখানে কাজ করতে করতে ইবলিস এমন একটি যন্ত্র তৈরি করল যা মানবসমাজ তখনো পর্যন্ত দেখে নি। তা ছিল একটি বাঁশি। শেষে সে বাঁশি বাজাতে শুরু করল এবং তা থেকে এমন এক ধ্বনি বের হতে লাগল যা মানুষ আগে কখনো শুনে নি। সেই ধ্বনি আশেপাশের মানুষকে বিমোহিত করল এবং তারা সপ্তাহের একদিন নির্ধারণ করল ইবলিসের সেই বিস্ময়কর শব্দ একত্রিত হয়ে উপভোগ করার জন্য।
কাবিলের সমাজের এই সাপ্তাহিক আয়োজনের শব্দ শীথ (আঃ) এর কিছু মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তারা একে অপরকে প্রশ্ন করে, তারা কী করছে? এসব কেমন শব্দ?
শীথ (আঃ) তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন আল্লাহ আমাদেরকে তাদের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করেছেন অতএব আমাদের তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তারা এসে তওবা করার আগ পর্যন্ত তাদের সাথে কোনো মেলামেশা করা যাবে না। কিন্তু শীথ (আঃ) তাদেরকে বারণ করার সত্বেও কিছু মানুষ পাহাড় থেকে নেমে গিয়ে কাবিলের সমাজের সেই গান-বাজনার আয়োজন দেখতে থাকল। সেই গান-বাজনা তাদেরকে আকৃষ্ট করল এবং কাবিলের সমাজের নারীরাও তাদেরকে আকৃষ্ট করতে লাগল। শীথ (আঃ) এর গোত্রের লোকেরা আগে কখনো এমন রুপবতী নারী দেখে নি। অন্যদিকে কাবিলের গোত্রের লোকেরা এত সুদর্শন পুরুষ আগে কখনো দেখে নি। তারা একে অপরকে আকৃষ্ট করতে লাগল। নারীরা বেপর্দা হয়ে তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করতে লাগল এবং সবাই সেই গান-বাজনা উপভোগ করতে লাগল।
তারপর যেটি হওয়ার কথা সেটিই হল। মানব ইতিহাসে তখন প্রথমবারের মত যিনা আরম্ভ হল এবং পরকিয়া হারাম সম্পর্ক সৃষ্টি হল। তারপর দুই সমাজেই পাপ ও ব্যভিচার বাড়তে লাগল।
আর এভাবেই ইবলিস শুধুমাত্র তার বাজনা দিয়ে উভয় গোত্রকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিল।
আর বর্তমানেও ইবলিসের সেই প্রথম হাতিয়ার মিউজিক দ্বারা হাজার হাজার মানুষ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। আজকে আমাদের সমাজের সবার ঘরে ঘরে এই মিউজিক।
ইবলিস/শয়তানের এই হাতিয়ার মানুষের ব্রেইনকে নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে বিভিন্ন পাপ, ব্যভিচার, পরকিয়া,যিনা ও অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করছে।
ইসলামে যেসব করতে নিষেধ করা হয়েছে তার অবশ্যই কোনো না কোনো শারীরিক ও মানসিক প্রভাব রয়েছে।
আমাদের রাসূল (সঃ) গান-বাজনাকে হারাম বলে ঘোষণা করে গিয়েছেন। কারণ তিনি জানতেন ইহা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং ইহা মানবসমাজকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দেই।
মিউজিক হল শয়তানের কন্ঠ ও অন্তরের মদ। মিউজিক মানব ব্রেইনকে নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন পাপাচার ও অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত করে। মিউজিক মানুষের ব্রেইনের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ও সেক্স হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে শয়তান খুব সহজেই মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে পাপাচারে লিপ্ত করাতে পারে।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে কাবিলের গোত্রের সেই ঘটনাটি। ইবলিস যখন বাঁশি বাজাতে লাগল তখন সেই ধ্বনি তাদের ব্রেইনকে আয়ত্তে নিয়ে নিল এবং তারা অশ্লীলতার দিকে ঝুঁকে পড়ল।
মিউজিক আমাদের দেহ ও মন মানসিকতাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, কীভাবে পাপাচারে লিপ্ত করতে পারে তার সায়েন্টিফিক বায়োলজিক্যাল ব্যাখ্যা পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
রাশিদুন খিলাফত আবু বকর উমর ইবনুল খাত্তাব উসমান ইবনে আফ্ফান আলী ইবনে আবী তালিব উমাইয়া খিলাফত দামেস্কের খলিফা (৬৬১-৭৫০) প্রথম মুয়াবিয়া প্রথম ইয়াজিদ দ্বিতীয় মুয়াবিয়া প্রথম মারওয়ান আবদুল মালিক প্রথম আল ওয়ালিদ সুলাইমান দ্বিতীয় উমর দ্বিতীয় ইয়াজিদ হিশাম দ্বিতীয় আল ওয়ালিদ তৃতীয় ইয়াজিদ ইবরাহিম দ্বিতীয় মারওয়ান কর্ডোবার আমির (৭৫৬-৯২৯) প্রথম আবদুর রহমান প্রথম হিশাম প্রথম আল হাকাম দ্বিতীয় আবদুর রহমান প্রথম মুহাম্মদ আল মুনজির আবদুল্লাহ তৃতীয় আবদুর রহমান কর্ডোবার খলিফা (৯২৯–১০৩১) তৃতীয় আবদুর রহমান দ্বিতীয় আল হাকাম দ্বিতীয় হিশাম দ্বিতীয় মুহাম্মদ সুলাইমান দ্বিতীয় হিশাম সুলাইমান চতুর্থ আবদুর রহমান আলি ইবনে হামুদ আল নাসির [H] আল কাসিম আল হামুন ইবনে হামুদ [H] ইয়াহিয়া ইবনে আলি আল মুতালি [H] আল কাসিম আল মামুন ইবনে হামুদ [H] পঞ্চম আবদুর রহমান তৃতীয় মুহাম্মদ ইয়াহিয়া ইবনে আলি আল মুতালি [H] তৃতীয় হিশাম আব্বাসীয় খিলাফত বাগদাদের খলিফা (৭৪৯–১২৫৮) আ...
কারুন যদি আমাদের পকেটে থাকা এটিএম কার্ডের কথা জানতেন, তবে তার ধনভাণ্ডারের চাবি বহনকারী চাকরের বহর নিয়ে দম্ভ করতেন না! পারস্য সম্রাট কিসরা যদি আমাদের বাসার ড্রয়িং রুমের বিলাসী সোফায় বসার সুযোগ পেতেন, তবে আর নিজের সিংহাসনের চেয়ার নিয়ে গর্ব করতেন না! রোম সম্রাট কায়সার যদি আমাদের এয়ারকন্ডিশন দেখতেন, তবে মাথার উপর উটপাখির পালক দিয়ে কৃতদাসদের করা বাতাসকে আয়েশ ভাবতেও লজ্জা পেতেন! পাইক-পেয়াদাদের লোভাতুর দৃষ্টি উপক্ষা করে হেরাক্লিয়াস গ্রীষ্মকালে মাটির হাড়ি কাত করে আয়েশী ভঙ্গিতে ঠান্ডা পানি পান করতেন। আজ আমাদের সহজলভ্য ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পানের স্বাভাবিক দৃশ্য দেখলে হয়তো নিজেকে সম্রাটই ভাবতেন না ! শাহী ভঙ্গিমায় ঘোড়ার চড়া হালাকু খানের সামনে দিয়ে যদি আপনি চকচকা করোলা গাড়ি কিংবা ইসুজু বাইক হাঁকিয়ে যেতেন, তবে তিনি নিজের বাহন নিয়ে গর্ব করতে লজ্জাবোধ করতেন হয়তো! রাজা-মহারাজারাও মাসের পর মাস পায়ে হেঁটে কিংবা ক্লান্ত উট বা ঘোড়ায় চড়ে হজ্জে যেতেন। আর আমরা কয়েক ঘন্টায় বিলাসবহুল বাহনে উড়াল দিয়ে হাজার হাজার মাইল মাড়িয়ে এসে হাজ্জ করি! রাজা-বাদশারাও যে সুখভোগের সুযোগ পায়নি, বরং স্বপ্নেও কল্পনা করে নি, ত...
এস্তেঞ্জা, লজ্জাস্থানের রোগব্যাধির কারণ (সুন্নাহ বনাম আধুনিকতা): কোলন_ক্যান্সার বলিউডের ইরফান খানের পরে; হলিউডের চ্যাডউইক বোসম্যান মারা গেলেন কোলন ক্যান্সারে। কোলন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ দ্রুত মলত্যাগ করা ও মলত্যাগ করতে বসার পদ্ধতি। প্রচলিত লো-কমোড ওয়াশরুমের চেয়ে হাই-কমোড/সিটিং কমোডে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। সিটিং কমোডে পায়ুনালী সোজা না হয়ে, বাঁকানো থাকে৷ ফলে পরিপূর্ণভাবে মলত্যাগ হয় না। যা ক্ষতের সৃষ্টি করে, ইহা পর্যায়ক্রমে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। বিলাসিতার জন্য সিটিং কমোড এখন বহুল ব্যবহৃত হয়, তবে পায়ুনালী সোজা রাখতে পায়ের তলায় প্লাস্টিকের টুল ব্যবহার করতে পারেন। বিঃদ্রঃ এখানে কোনো হাসির কথা বলা হয়নি,এটা সকলেরই জানা প্রয়োজন। Courtesy : School of Engineers আল্লাহর রাসূল(স:) যখন সাহাবাদেরকে (রা:) এস্তেঞ্জার নিয়ম কানুন শিক্ষা দিতেন, তখন এটা নিয়ে কাফিররা ট্রল করতো। অথচ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। উপরে আপনারা হাই কমোডের (আধুনিকতার) ফলাফল দেখলেন। এবার আসুন দেখি ইসলাম আমাদেরকে এ ব্যাপারে কি শিক্ষা দিয়েছে? টয়লেট ব্যবহারে সঠিক নিয়ম: ১. টয়লেটে প্রবেশের পূর্বে এই দু'আ পড়া- ( দু...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন